শিফা (আরবি শব্দ, অর্থ “আরোগ্য”) সাধারণত মধু, কালোজিরা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানের সম্মিলিত স্বাস্থ্যগত উপকারিতাকে বোঝায়। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণাবলী, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। নিয়মিত শিফা গ্রহণ হজমশক্তি উন্নত করে, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং সার্বিকভাবে শরীরকে প্রাকৃতিক শক্তি জোগায়। ফলস্বরূপ, শরীর ও মনের সার্বিক সুস্থতা রক্ষায় শিফা একটি কার্যকর সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
কালোজিরার থাইমোকুইনোন ও মধুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট একত্রে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। পাশাপাশি চিয়া সিডে থাকা ওমেগা-৩, ফাইবার ও প্রোটিন শরীরের সার্বিক কর্মক্ষমতা উন্নত করে।
নিয়মিত ও পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করলে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে। চিয়া সিডের ওমেগা-৩ হৃদ্পিণ্ডের সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।
মধু ও কালোজিরা পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, অন্যদিকে চিয়া সিডের উচ্চ ফাইবার হজমব্যবস্থাকে ভালো রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
মধুর প্রাকৃতিক উপাদান ত্বক উজ্জ্বল করে, কালোজিরার অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ত্বকের সুরক্ষায় সহায়তা করে, চিয়া সিডের ভিটামিন ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
আয়িশা (রাঃ) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেনঃ এই কালো জিরা ’সাম’ ব্যতিত সকল রোগের ঔষধ। আমি বললামঃ সাম- কি? তিনি বললেনঃ সাম- অর্থ মৃত্যু। ৫২৮৫,|| AL-QURAN > পবিত্র কোরআনে মধুর ঔষধি গুণ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার রব মৌমাছির প্রতি ইলহাম করেছেন যে পাহাড়ে, বৃক্ষে আর উঁচু চালে বাসা তৈরি করো। অতঃপর তুমি প্রত্যেক ফল থেকে আহার করো এবং তুমি তোমার রবের সহজ পথে চলো। তার পেট থেকে এমন পানীয় বের হয়, যার রং ভিন্ন ভিন্ন, যাতে রয়েছে মানুষের জন্য রোগ নিরাময়। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন আছে ওই জাতির জন্য, যারা চিন্তা করে। (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৮-৬৯)